তুমি কি সম্পর্কের ঝামেলায় পড়ে দিশেহারা? বয়ফ্রেন্ড রিপ্লাই দিচ্ছে না? বেস্টফ্রেন্ড হুট করে ব্লক করে দিল? পরিবার তোমার স্বাধীনতায় টান দিচ্ছে? আগে একটা জিনিস বুঝে নাও, তুমি একা নও! এই সম্পর্কের টানাপোড়েন আজকের নয়, হাজার বছর ধরেও মানুষ একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে! এমনকি রাম-সীতা-হনুমানও এসবের বাইরে ছিল না! তাই এবার গল্প নয়, রামায়ণ থেকেই নাও জীবন বদলে দেওয়া ১০টি সম্পর্কের টিপস!
১. ট্রাস্ট ইজ এভরিথিং, রামের মতো বিশ্বস্ত হও!
বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্কও ভেঙে যায়। রামচন্দ্র নিজের স্ত্রী সীতার প্রতি যেভাবে বিশ্বস্ত ছিলেন, তেমনি তোমাকেও তোমার সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ত হতে হবে।
টিপস: সঙ্গীর প্রতি অকারণ সন্দেহ বন্ধ করো! ট্রাস্ট ছাড়া কোনো সম্পর্ক টিকবে না!
২. স্বাধীনতা দিতে শেখো, লক্ষ্মণের মতো সীমারেখা বোঝো!
তুমি কি প্রেমিক বা বন্ধুকে বেশি কন্ট্রোল করছ? লক্ষ্মণের মতো সীমারেখা তৈরি করো কিন্তু দমবন্ধ করোনা! সম্পর্ক মানে দাসত্ব নয়, পারস্পরিক বোঝাপড়া।
টিপস: তোমার বয়ফ্রেন্ড বা বেস্টি যদি একটু সময় চায়, তাকে সে স্বাধীনতাটা দাও। প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত স্পেস দরকার।
৩. মিথ্যার জালে নিজেকে জড়িয়ো না, রাবণের ভাগ্য দেখেছ?
একটা ছোট্ট মিথ্যা, আর তার ফল বিশাল ধ্বংস! রাবণ সীতাকে অপহরণ করেছিল ধোঁকাবাজির মাধ্যমে, শেষ পর্যন্ত কী হলো? সম্পূর্ণ রাজ্য ধ্বংস! সুতরাং, সম্পর্কের ভিত মিথ্যা দিয়ে গড়তে যেও না।
টিপস: তোমার ভুল হলে স্বীকার করো, সত্যি কথা বলো, এবং সম্পর্ক বাঁচাও।
৪. বিনয়ী হও, হনুমানের মতো সার্ভ করতে শিখো!
যে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে শুধু নেওয়া নয়, কিছু দিতে শিখতে হবে! হনুমানের মতো অন্যদের জন্য কিছু করো, বিনিময়ে অনেক কিছু পাবে।
টিপস: সঙ্গী বা বন্ধুর জন্য ছোট ছোট কিছু করো, যেমন তাদের খারাপ সময়ে পাশে থাকা। এটা সম্পর্ককে আরও শক্ত করবে।
৫. অপমান হজম করো, প্রতিশোধ নয়, ভারতকে দেখো!
রামের জন্য রাজ্য ছেড়ে ভারত যে ত্যাগ করেছিল, সেটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার উদাহরণ। সম্পর্কের মধ্যে অহংকার ও প্রতিশোধ নিলে সেটি নষ্ট হয়।
টিপস: ঝগড়ার সময় ইগো কমাও, কারণ সম্পর্ক বেশি মূল্যবান!
৬. এক্সপেকটেশন ম্যানেজ করো, মন্দোদরীর ভুল কোরো না!
রাবণের স্ত্রী মন্দোদরী তাকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তার এক্সপেকটেশন ও বাস্তবতা মিলছিল না। তোমার সম্পর্কেও যদি আশা আর বাস্তবতা না মেলে, তাহলে সেটা সামঞ্জস্য করতে হবে।
টিপস: প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু বা পরিবারের কাছে অতিরিক্ত কিছু আশা করো না, বরং রিয়েলিস্টিক থাকো!
৭. পরীক্ষার জন্য সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলো না, সীতার ভুল থেকে শিখো!
সীতার অগ্নিপরীক্ষা নেওয়া কি ঠিক ছিল? নাহ! ভালোবাসা মানে কাউকে বারবার পরীক্ষা করা নয়।
টিপস: প্রেমিক বা বন্ধুর বিশ্বস্ততা নিয়ে সন্দেহ কোরো না। ভালোবাসা পরীক্ষার জিনিস নয়!
৮. একতাই শক্তি, বানরসেনার মতো টিমওয়ার্ক করো!
যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে একসঙ্গে থাকাটা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। রামের দল এক হয়ে যুদ্ধ করেছিল বলেই তারা জিতেছিল।
টিপস: বন্ধুদের সঙ্গে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দূরত্ব তৈরি কোরো না, বরং এক হয়ে সবকিছু সমাধান করো।
৯. নেগেটিভ ইন্সপিরেশন দূর করো, কাইকেয়ীর মতো স্বার্থপর হইও না!
কাইকেয়ী যদি অন্যের কথায় না চলতো, তাহলে রামের বনবাস হতো না! নেগেটিভ মানুষদের কথা শুনে নিজের ভালো সম্পর্ক নষ্ট কোরো না।
টিপস: গসিপ কুইনদের কথা শুনে সম্পর্কের সিদ্ধান্ত নিও না। নিজের বুদ্ধি খাটাও!
১০. ক্ষমা করতে শেখো, রামের মতো উদার হও!
রাম শত্রুকেও ক্ষমা করতে জানতেন। তুমিও যদি ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করতে পারো, তাহলে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
টিপস: যদি কেউ সত্যিই অনুতপ্ত হয়, তবে তাকে আরেকটা সুযোগ দাও!