বাড়ির ছোট ভাইটা কি তোমার লিপস্টিক চুরি করে নষ্ট করল? বা তোমার প্রিয় বান্ধবী কি তোমাকে দারুণ বিশ্বাসঘাতকতা করল? রাগে ফেটে পড়তে চাইছো? থামো! শ্বাস নাও! রামের জীবন থেকে শেখো!
শান্ত হও! কারণ আত্মনিয়ন্ত্রণ হল সেই সুপারপাওয়ার, যা তোমাকে সাধারণ থেকে অসাধারণ করে তুলতে পারে! আর কে এই সুপারপাওয়ারের মাস্টার? আমাদের প্রিয় শ্রীরাম! তার জীবন থেকে ৫টি শক্তিশালী শিক্ষা নাও, যা তোমাকে যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে!
১. রাগে গজগজ করছো? মনে রাখো, রামের সব হারিয়েও শান্ত থাকা!
রাম যখন ১৪ বছরের জন্য বনবাসে গেলেন, তখন কি তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে রাগে ফেটে পড়েছিলেন? না! তিনি ধৈর্য ধরলেন, পরিস্থিতি মেনে নিলেন এবং নিজের কর্তব্য পালন করলেন। তাই, যখন কেউ তোমাকে উত্যক্ত করে, তখন নিজেকে বলো, “আমি রামের মতো ধৈর্য ধরবো!”
২. প্রলোভন এড়াতে শিখো – রামের মতো ‘না’ বলতে শেখো!
আজকাল টিনএজারদের জীবন প্রলোভনে ভরা, অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া, ফাস্ট ফুড, নেগেটিভ মানুষ। কিন্তু ভাবো, যদি রাম চান্দ্রকান্তা নগরের রাজত্বের প্রলোভনে পড়ে যেতেন, তাহলে কি তিনি আদর্শ রাজা হতে পারতেন? না! তাই, অপ্রয়োজনীয় জিনিসের প্রতি ‘না’ বলা শেখো!
৩. প্রতিশোধ? না, ধৈর্য!
রাবণ সীতাকে অপহরণ করল, কিন্তু রাম কি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিশোধ নিলেন? না! তিনি কৌশল, বুদ্ধি আর ধৈর্যের মাধ্যমে যুদ্ধ জিতলেন। সো, তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড যদি তোমার সিক্রেট অন্য কাউকে বলে দেয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ঝগড়া না করে একবার ভাবো, রাম হলে কী করতেন?
৪. কাজ শেষ করার আগে রিঅ্যাক্ট করবে না!
রামের জীবনে একটার পর একটা বাধা এসেছে, কিন্তু তিনি কখনও কাজ শেষ করার আগেই হাল ছাড়েননি! আজ তুমি যদি পরীক্ষার আগে অর্ধেক পড়ে হাল ছেড়ে দাও, তাহলে তুমি নিজেকেই ঠকাবে! রামের মতো স্থির থেকে কাজ শেষ করো!
৫. সঠিক বন্ধুত্ব বেছে নাও!
রামের পাশে লক্ষ্মণ আর হনুমান ছিল, যারা ছিল তার প্রতি নিবেদিত। ভুল বন্ধুর সাথে সময় নষ্ট কোরো না! তোমার জীবনে এমন বন্ধু রাখো, যারা সত্যিই তোমার মঙ্গল চায়!
শেষ কথা: রামের জীবন আমাদের শেখায় যে আত্মনিয়ন্ত্রণ মানেই দুর্বলতা নয়, বরং এটা তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি! তোমার জীবনে এমন কী পরিস্থিতি এসেছে যেখানে তুমি আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়েছো?