৭টি ভুল যা করলে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে, সীতা কী করতেন? 

তুমি কি সম্পর্কের ড্রামায় জর্জরিত?  নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে বুঝতে পারছো না? কিংবা এমন কিছু ভুল করছো, যা সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তুলছে? আরে, গার্ল, চিন্তা করো না! একেবারে ট্র্যাডিশনাল গার্ল বস সীতা মা তোমার জন্য রেখে গেছেন দারুণ কিছু শিক্ষা! 

আজ আমরা কথা বলব সেই ৭টি মারাত্মক ভুল নিয়ে, যা করলে সম্পর্ক ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, আর কীভাবে সীতা তা সামলাতেন! 

১. ব্লাইন্ডলি বিশ্বাস করা: ‘ট্রাস্ট কিন্তু ভারিফাই!’

আমরা অনেক সময় ভালোবাসায় এতটাই ডুবে যাই যে সবকিছু চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে ফেলি। কিন্তু সীতা? তিনি ছিলেন স্ট্রং, স্মার্ট, এবং সাবধানী!

 কী শেখা উচিত?
প্রেমিকের প্রতিটি কথা, প্রতিটি প্রতিশ্রুতি যাচাই করো। যেমন রাবণের মিথ্যা চটকদার কথায় ভুলে গেলে কী হয়, সেটা তো আমরা জানিই! অতএব, ‘Trust but verify’, এটাই মন্ত্র হওয়া উচিত! 

২. সীমানা না ঠিক করা: ‘নো লক্ষণরেখা? বিগ প্রবলেম!’

রিলেশনশিপে যদি কোনো সীমানা না থাকে, তবে সেটাই সবচেয়ে বড় বিপদ! লক্ষণরেখা না মানার কারণে সীতাকে বনবাসের সময় চরম মূল্য দিতে হয়েছিল!

 কী শেখা উচিত?
নিজের ব্যক্তিগত স্পেস তৈরি করো। কেউ যদি তোমার সীমানা না মানে, তাকে স্পষ্টভাবে বলে দাও! না হলে একসময় সম্পর্কের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে যাবে! 

৩. নিজেকে ভুলে গিয়ে অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া

সীতা যখন রামের সাথে বনবাসে গেলেন, তিনি নিজের আরামের কথা ভাবেননি। কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে বারবার নিজেকে উৎসর্গ করলে তুমি একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়বে!

 কী শেখা উচিত?
হ্যাঁ, ভালোবাসো, কিন্তু নিজেকেও ভালোবাসো! যদি সবকিছু একতরফা হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকবে না!

৪. এক্সট্রিম ইমোশনাল হওয়া: ‘সেন্স নয়, সেন্সিবিলিটি!’

সীতার প্রতি যখন অবিচার হয়েছিল, তিনি আবেগপ্রবণ ছিলেন, কিন্তু নিজের মর্যাদা নিয়ে কখনও আপস করেননি।

 কী শেখা উচিত?
যদি সম্পর্কের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নাও। শুধুমাত্র ইমোশনের বশে বড় ভুল করে ফেলো না!

৫. পরিস্থিতি না বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া: ‘ইমপালস কন্ট্রোল ইজ দ্য কি!’

সীতা যদি একটু ধৈর্য ধরতেন, যদি বুঝতেন যে স্বর্ণমৃগ একটা ফাঁদ, তাহলে এত বড় বিপদে পড়তেন না!

 কী শেখা উচিত?
সম্পর্কে তাড়াহুড়ো করে কিছু করো না। আগে বুঝে নাও, তারপর সিদ্ধান্ত নাও! না হলে পরে পস্তাতে হবে!

৬. নিজের কদর না জানা: ‘গার্ল, ইউ আর দ্য কুইন!’

সীতা ছিলেন একজন রাণী, কিন্তু বারবার পরীক্ষা দিতে হয়েছে! তোমার জীবনে যদি কেউ তোমার মূল্য না দেয়, তবে সে সম্পর্কের মানেই নেই!

 কী শেখা উচিত?
নিজের গুরুত্ব বোঝো! যে তোমাকে বুঝবে না, তার জন্য বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে যেও না!

৭. বারবার টক্সিক সম্পর্ক ধরে রাখা: ‘Let Go & Glow!’

শেষ পর্যন্ত, সীতা যখন বুঝলেন যে এই সমাজ তাঁকে বারবার সন্দেহ করবে, তিনি নিজেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলেন।

 কী শেখা উচিত?
যদি সম্পর্ক তোমাকে কষ্টই দেয়, তাহলে সাহস করে বেরিয়ে আসো! তুমিও সীতার মতো স্ট্রং!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top