১. নিজেকে খোঁজা, সীতার মতো, কিন্তু ভুল পথে নয়!
আপনি কি কখনও অনুভব করেছেন যে সমাজ আপনাকে শুধু “ভদ্র মেয়ে” হতে বলছে? সীতার মতো আপনিও কি নিজের শক্তি ও সত্তা খুঁজতে চান? ভুল পথে হারিয়ে যাবেন না! সীতা যেমন নিজের আত্মপরিচয় খুঁজতে গিয়ে অপহৃত হয়েছিলেন, তেমনই ভুল সিদ্ধান্ত আপনার জীবনে ঝুঁকি আনতে পারে। তাই আত্মপরিচয় তৈরি করুন, কিন্তু বুদ্ধি দিয়ে!
২. লক্ষ্মণ রেখা মানেই সীমাবদ্ধতা নয়, বরং সুরক্ষা!
বাবা-মায়ের কিছু বিধিনিষেধ নিয়ে আপনার বিরক্ত লাগে? মনে হয়, “আমার জীবন, আমার নিয়ম!”? লক্ষ্মণ রেখা কেবল নিষেধাজ্ঞা নয়, এটি সুরক্ষার প্রতীক। সব সীমাবদ্ধতা খারাপ নয়, কখনও কখনও এগুলো আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করে। তাই স্বাধীন হোন, কিন্তু সাবধানও থাকুন!
৩. রামের মতো নিজের স্ট্যান্ড নিন!
কোনও অন্যায় দেখলে মুখ বন্ধ করে থাকেন? ফ্রেন্ড সার্কেলে কোনো ভুল হলে চুপচাপ সহ্য করেন? রাম শুধু একজন রাজা ছিলেন না, তিনি ছিলেন আদর্শের প্রতীক। অন্যায় দেখলে মুখ খুলুন, নিজের মতামত জানান, এবং ন্যায়ের পথে থাকুন, নাহলে কে জানে, আপনার বন্ধুমহলে ‘রাবণ’ ঢুকে পড়বে!
৪. হনুমানের মতো আত্মবিশ্বাসী হন!
আপনি কি কখনও নিজেকে ছোট মনে করেন? হনুমানও প্রথমে নিজেকে চিনতেন না, কিন্তু যখন নিজের শক্তি বুঝলেন, তখন গোটা লঙ্কা জ্বালিয়ে দিলেন! আপনিও নিজের শক্তি খুঁজুন, আত্মবিশ্বাস রাখুন, এবং দেখুন কিভাবে আপনার ভেতরের সুপারপাওয়ার প্রকাশ পায়।
৫. সুগ্রীবের মতো বন্ধুত্ব করুন, যারা আপনাকে সত্যিই চায়!
আপনার বন্ধু কি শুধু মজা করার জন্য, নাকি সত্যিকারের সাপোর্ট দেয়? সুগ্রীব বন্ধুত্ব করেছিল রামের সাথে, কারণ তিনি জানতেন যে সঠিক বন্ধুত্ব জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তাই শুধু ইনস্টাগ্রামের ‘লাইক’ নয়, বাস্তব জীবনের সঠিক বন্ধু বেছে নিন!
৬. বিভীষণের মতো সত্যের পক্ষে থাকুন!
পরিবারের বা বন্ধুদের কেউ ভুল করলে কী করবেন? তাদের অন্ধভাবে সমর্থন করবেন, নাকি ভুলের বিরোধিতা করবেন? বিভীষণ তার ভাই রাবণের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন এবং শেষমেশ বিজয়ী হয়েছিলেন। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, যদিও প্রথমে সেটা কঠিন মনে হতে পারে।
৭. রাবণের মতো অহংকারী হবেন না!
নিজের সাফল্য নিয়ে অহংকার করলে কী হয়? রাবণ ছিলেন প্রতিভাবান, কিন্তু অহংকার তার পতন ডেকে এনেছিল। তাই নিজের গুণের দাম দিন, কিন্তু অহংকারী হবেন না। অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে, আপনার সত্যিকারের শক্তি আরও উজ্জ্বল হবে।