আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ, কিন্তু সবাই কি আমাদের সত্যিকারের বোঝে? নাকি কেউ কেউ শুধু সুযোগের অপেক্ষায় থাকে? ঠিক যেমন রামায়ণ আমাদের শেখায়, সম্পর্ক বোঝার জন্য কিছু বিশেষ সংকেত থাকে! তাই চোখ-কান খোলা রাখো, কারণ আজ তোমাকে বলবো ৭টি সংকেত, যা প্রমাণ করবে কে তোমার সত্যিকারের আপন!
১. সে তোমার ‘সীতা পরীক্ষা’ নেয় না!
সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো প্রমাণ চায় না! যদি কেউ সবসময় তোমাকে নিজের ভালোবাসা প্রমাণ করতে বলে, তবে সাবধান! ঠিক যেমন রাম সীতার চরিত্র পরীক্ষার জন্য অগ্নিপরীক্ষা নিয়েছিলেন, সত্যিকারের ভালোবাসায় এমন পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। যে তোমাকে বোঝে, সে তোমার অনুভূতিগুলোকে সম্মান করবে, পরীক্ষা নয়!
২. সে কখনো ‘রাবণের মতো’ আচরণ করে না!
রাবণ ছিলো একজন রাজা, বিদ্বান, শক্তিশালী, কিন্তু সে সম্মান দিতে জানতো না! যদি কেউ তোমার সম্মতি ছাড়া তোমার ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, তোমার স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে, বা তোমাকে নিজের মতো বাঁচতে না দেয়, তবে বুঝবে, সে রাবণের মতো! সত্যিকারের আপনজন তোমার স্বাধীনতাকে সম্মান করবে, বন্দি করবে না।
৩. সে ‘লক্ষ্মণের রেখা’ টেনে দেয়, কিন্তু তোমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে না!
লক্ষ্মণ যখন সীতার জন্য সুরক্ষার রেখা টেনেছিল, সেটা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার জন্য ছিল। কিন্তু যদি কেউ তোমার জন্য সীমা নির্ধারণ করতে গিয়ে তোমাকে বন্দি করে ফেলে, তাহলে সেটা ভালোবাসা নয়, বরং নিয়ন্ত্রণ! যে সত্যিকারের আপন, সে তোমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, কিন্তু তোমার স্বাধীনতায় বাধা দেবে না!
৪. সে কখনো ‘মন্থরার মতো’ তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে না!
মন্থরা কৌশলে কৈকেয়ীর মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে রামের বনবাসের ব্যবস্থা করেছিল! তোমার আশেপাশেও যদি কেউ এমন থাকে, যে তোমাকে অন্যদের বিরুদ্ধে উসকে দেয়, বা তোমার জীবনে নেতিবাচক চিন্তা ঢুকিয়ে দেয়, তাহলে সাবধান! যে সত্যিকারের আপন, সে সবসময় তোমার মঙ্গল চায়, ধ্বংস নয়!
৫. সে ‘হনুমানের মতো’ তোমার পাশে দাঁড়ায়!
যে তোমাকে সত্যিকারের বোঝে, সে শুধু কথায় নয়, কাজে প্রমাণ করবে! হনুমান যেমন সীতাকে খুঁজে পেতে লঙ্কা পর্যন্ত গিয়েছিলেন, তেমনই একজন প্রকৃত আপনজন তোমার প্রয়োজনে পাহাড়-পর্বত ডিঙিয়ে পাশে থাকবে! সমস্যা এলে পালিয়ে যাবে না, বরং সমাধানের জন্য লড়বে!
৬. সে কখনো ‘বিবিশণের মতো’ বিশ্বাসঘাতকতা করবে না!
রাবণের ভাই হয়েও বিবিশণ তার নিজের স্বার্থের জন্য তাকে ছেড়ে গিয়েছিল! তোমার কাছেও যদি এমন কেউ থাকে, যে তোমার ব্যক্তিগত বিষয় অন্যদের বলে দেয়, বা স্বার্থের জন্য তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তবে বুঝবে, সে তোমার আপন নয়! সত্যিকারের আপনজন তোমার গোপন কথা রক্ষা করবে, সুযোগের অপেক্ষা করবে না!
৭. সে তোমাকে ‘শ্রী রামের মতো’ সম্মান দেয়!
রাম ছিলেন একজন আদর্শ পুরুষ, তাঁর চরিত্র থেকে শেখার মতো অনেক কিছু আছে! যে তোমাকে সত্যিকারের বোঝে, সে তোমাকে ভালোবাসার পাশাপাশি সম্মানও দেবে! শুধু ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, যদি সম্মান না থাকে! তুমি যদি তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হও, তবে সে সেটা শুধু মুখে বলবে না, প্রতিদিন তার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করবে!
তাহলে, এখন বলো! তোমার জীবনে এমন কেউ আছে?
আমরা সবাই চাই সত্যিকারের আপনজনকে চিনতে, কিন্তু কখনো কখনো ভুল মানুষের জন্য মূল্য দিতে হয়! তাই এই সংকেতগুলো মনে রাখো, এবং এমন সম্পর্ক বেছে নাও যা তোমাকে মানসিক শান্তি ও ভালোবাসা দেবে!