“তোমার কী পরা উচিত, কী পড়া উচিত, কাকে ভালো লাগা উচিত , সবাই জানে, শুধু তুমিই জানো না!”
পরিচিত শোনাচ্ছে, তাই তো? আমরা সবসময় কারও না কারও মতামতের বন্যায় ভাসছি। বন্ধুরা বলবে , “ওই জিনিসটা কিন, সবাই নিচ্ছে!” ফ্যামিলি বলবে , “ওই সাবজেক্ট পড়, সেটার ভবিষ্যত আছে!”
কিন্তু জানো কী, প্রায় হাজার বছর আগেও এই সমস্যা ছিল। আর রামায়ণ তার চূড়ান্ত সমাধান দিয়ে গেছে!
তো চল, শিখে নিই সেই “৮টি আল্ট্রা পাওয়ারফুল কৌশল” , যা অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে তোমার নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবার সাহস দেবে।
১. সীতা-সিন্ড্রোম থেকে মুক্ত হও!
সীতার মতো মিষ্টি-মিষ্টি সবাইকে খুশি রাখতে গেলে, নিজের চাওয়াগুলো শেষমেশ ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
সীতা বনবাসে গিয়েও নিজের মতামত দিয়েছিল, সে ছিল নিজের ইচ্ছের মালিক।
টিপ: কাউকে খুশি রাখতে গিয়ে নিজের সীমানা হারিও না। ‘না’ বলার সাহস চর্চা করো।
২. হনুমান স্টাইল কনফিডেন্স!
হনুমান বিশ্বাস করেছিল, তার শক্তি অফুরন্ত। ঠিক তোমার মতোই।
টিপ: কেউ কিছু বললেই তা সত্যি নয়। নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, কারণ তুমি তার চেয়েও বেশি পারো!
৩. লক্ষ্মণের ‘বাউন্ডারি’ টেকনিক শিখে নাও!
লক্ষ্মণ রেখা কেবল একটি দাগ নয়, এটি একদম পার্সোনাল বাউন্ডারি এর মাস্টারক্লাস।
টিপ: জীবনের প্রতিটি সম্পর্কে সীমারেখা আঁকো। কারা তোমার মাইন্ড স্পেসে ঢুকবে , সেটা ঠিক করবে তুমি!
৪. রামের ‘ডিসিপ্লিন’ ম্যাজিক
রাম কখনোই ইমোশনে ভেসে সিদ্ধান্ত নেয়নি, বরং ধৈর্য আর পরিকল্পনা তার সুপারপাওয়ার ছিল।
টিপ: ইমোশন ঠান্ডা হলে, প্ল্যান করো। সিদ্ধান্ত তখনই নিও যখন মাথা কুল, হেডফোনে নয়!
৫. জটায়ুর সাহসিকতা , নিজের মূল্যবোধ ধরে রাখো
জটায়ু জানতো সে রাবণকে থামাতে পারবে না, তবুও চেষ্টা করেছিল। কারণ তার নিজের ভ্যালু সিস্টেম ছিল শক্ত।
টিপ: ফ্যাশন, ট্রেন্ড, কিংবা peer pressure যাই হোক, নিজের নীতিতে দাঁড়িয়ে থাকো। লোকে কী ভাববে , বাদ দাও!
৬. শূর্পনখার ‘ওভাররিঅ্যাক্ট’ ফাঁদ থেকে দূরে থাকো!
শূর্পনখা যখন প্রত্যাখ্যাত হলো, ইগোতে গুঁড়িয়ে পড়ে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল।
টিপ: কেউ তোমার পছন্দ অপছন্দ করলে ওভাররিঅ্যাক্ট কোরো না। ইমোশনের জালে আটকা পড়ে ভুল ডিসিশন নেবে না।
৭. বিভীষণের ‘সত্যের পাশে দাঁড়ানো’ মুভ
বন্ধু হোক বা পরিবার, বিভীষণ নিজের নীতিকে প্রাধান্য দিয়েছিল। প্রলোভন, মান-সম্মান সব বাদ দিয়ে সত্যকে বেছে নিয়েছিল।
টিপ: সত্য তোমার সবচেয়ে বড় গাইড। কারো চাপে নিজের নীতিতে আপস কোরো না।
৮. রামায়ণ থেকে শিখো: নিজের গল্পের ‘নায়িকা’ হও!
অন্যরা তোমার লাইফের স্ক্রিপ্ট লিখবে, আর তুমি নীরব দর্শক হয়ে দেখবে , এটা কেমন হয়?
টিপ: নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস রাখো, কারণ এই লাইফের হিরোইন তুমিই!
শেষ কথা:
রামায়ণ আমাদের শিখিয়েছে, জীবনের বড় প্রশ্নে “লোক কী বলবে?” এটাই সবচেয়ে বাজে পরামর্শ। সত্যিকারের পাওয়ার আসে যখন তুমি নিজের চিন্তা, যুক্তি আর সাহসের উপর দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নাও।
তাহলে আজকের প্রশ্নঃ
তোমার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো কি নিজের ইচ্ছা থেকে নাকি অন্যদের চাপ থেকে এসেছে?
কমেন্টে শেয়ার করো, তোমার মত জানাও , হোক না এই লেখাটাই তোমার নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রথম স্টেপ!