৯টি ভুল যা করলে সবার বিশ্বাস হারাবেন

ঠিক আছে মেয়েরা, সতর্ক থাকো! কারণ এই ৯টি ভুল করলেই কিন্তু সবাই তোমার উপর বিশ্বাস হারাবে! বন্ধুরা, পরিবার, এমনকি তোমার প্রিয় মানুষটিও! কিন্তু ভয় নেই, রামায়ণ আমাদের শেখাতে এসেছে। এই মহাকাব্যে আছে কিছু সিরিয়াস “লাইফ লেসন”, যা এড়িয়ে গেলে জীবনটাই মুশকিল হয়ে যাবে!

তাহলে চলো দেখে নেওয়া যাক, এই ৯টি ভুল তুমি করছ কিনা, এবং কীভাবে তা এড়িয়ে একজন শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী এবং সবার প্রিয় ব্যক্তি হয়ে উঠবে!

 ১. নিজের সিদ্ধান্ত অন্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া, (সীতা বনাম মন্দোদরী)

তুমি কি সবসময় অন্যের কথাতেই চলো? বন্ধু কী বলবে, পরিবার কী বলবে, সোসাইটি কী বলবে, এসব ভেবে নিজের লাইফ ডিসিশন নেয়া বন্ধ করে দিয়েছ? স্টপ ইট রাইট নাও!

সীতা মা যখন রামের সাথে বনবাসে গেলেন, সেটি তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত ছিল, তিনি কারও মুখাপেক্ষী ছিলেন না। কিন্তু মন্দোদরী? তিনি জানতেন রাবণ ভুল করছে, তবুও কিছু করেননি! নিজের সিদ্ধান্ত অন্যের হাতে ছেড়ে দিলে শেষে তোমারই ক্ষতি!

 তুমি কি নিজের জীবন নিয়ে নিজেই ডিসিশন নিচ্ছো, নাকি অন্য কেউ?

 ২. প্রতিটি লোকের কথায় কান দেওয়া, (রামের বনবাস)

তুমি কি প্রতিটি গসিপের শিকার হও? লোকে কী বললো, কে কীভাবে তোমাকে বিচার করলো, এসব নিয়ে রাতের পর রাত কাঁদো? তাহলে জানো কি, এটাই তোমার সবচেয়ে বড় ভুল!

রামের বনবাস শুধু একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছিল, জনগণ কী ভাববে, সেটাই আসল ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল! তুমি কি তোমার লাইফেও সবার কথায় গা ভাসাচ্ছ? যদি তাই হয়, তাহলে সময় এসেছে নেগেটিভ লোকদের ইগনোর করার!

 লোকে কী বলবে ভেবে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ? একবার ভাবো!

 ৩. বিশ্বাস ভেঙে দেওয়া, (রাবণের বিশ্বাসঘাতকতা)

বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে, তা আর ফেরানো যায় না! রাবণ শ্রী রামের বিশ্বাস ভেঙেছিল, ফলাফল? নিজের পুরো রাজ্য নষ্ট হয়ে গিয়েছিল!

তুমি যদি কাউকে প্রতারিত করো, মিথ্যা বলো, গোপনে পেছনে কথা বলো, তাহলে একসময় সবাই তোমাকে এড়িয়ে চলবে। মানুষ তোমাকে আর বিশ্বাস করবে না!

 তুমি কি এমন কিছু করছ যা অন্যদের বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে? নিজেকে প্রশ্ন করো!

 ৪. অহংকার দেখানো, (রাবণের পতন)

তুমি কি সবসময় মনে করো, “আমি সব জানি! আমার চেয়ে ভালো কেউ নেই!”? যদি তাই হয়, তাহলে সাবধান!

রাবণের মত অহংকারী মনোভাব তোমার পতন ডেকে আনতে পারে! সে ভেবেছিল, কেউ তাকে হারাতে পারবে না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের ভুলেই ধ্বংস হয়েছে!

 তুমি কি অহংকারের কারণে নিজের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছো? নাকি নম্রতা শিখবে?

 ৫. সঠিক সময়ের গুরুত্ব না বোঝা, (কুম্ভকর্ণের ঘুম)

“আর একটু পরে করবো…” “আগামীকাল শুরু করবো…” এই অভ্যাস কি তোমারও আছে?

কুম্ভকর্ণও ঘুমিয়েছিল ভুল সময়ে, আর যখন জেগেছিল তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল! লাইফে লেট করলে কেউ তোমার জন্য অপেক্ষা করবে না!

 তুমি কি জীবনের সুযোগগুলো হারাচ্ছো? নাকি সময়ের গুরুত্ব বুঝছো?

 ৬. ভুল মানুষকে বিশ্বাস করা, (বিভীষণ বনাম রাবণ)

তুমি কি এমন কাউকে বন্ধু ভেবেছ, যে আসলে তোমার সাথে প্রতারণা করেছে?

রাবণ মনে করেছিল, বিভীষণ তার শত্রু, কিন্তু আসলে সে সত্যের পক্ষে ছিল! ঠিক তেমনই, অনেক সময় ভুল মানুষকে বিশ্বাস করলে, নিজের ক্ষতি ডেকে আনবে!

 তুমি কি আসল বন্ধুদের চিনতে পারছো? নাকি ভণ্ডদের সাথে জীবন কাটাচ্ছো?

 ৭. নিজের গুণের দাম না দেওয়া, (হনুমানের আত্মবিশ্বাস)

“আমি পারবো না…” “আমি তো কিছুই না…” এভাবে নিজেকে ছোট করে দেখছ?

হনুমান কখনো নিজের শক্তিকে অবহেলা করেননি! বরং তিনি জানতেন, তিনি কী করতে পারেন। নিজেকে ছোট ভাবলে, কেউ তোমাকে বড় করে দেখবে না!

 নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হও! তুমি যতটা ভাবছো, তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী!

 ৮. খারাপ কাজের পক্ষে দাঁড়ানো, (কৌশল্যার নীরবতা)

তুমি কি কখনো ভুল কিছু দেখেও চুপ থেকেছ? সেটা স্কুলে বুলিং হোক, পরিবারে অন্যায় হোক, তুমি চুপ থেকেছ?

কৌশল্যা মা জানতেন, রামের বনবাস অন্যায়, তবুও তিনি নীরব ছিলেন। ভুলের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে, একদিন তুমিই ভুক্তভোগী হবে!

 ভুল দেখলে কি তুমি চুপ থাকবে, নাকি সাহস করে সত্যের পক্ষে দাঁড়াবে?

 ৯. নিজের আত্মসম্মান হারানো, (সীতার অগ্নিপরীক্ষা)

তুমি কি কারও জন্য এত কিছু করেও অবহেলিত হচ্ছ? বারবার প্রমাণ দিতে হচ্ছে যে তুমি ভালো?

সীতা মা অগ্নিপরীক্ষা দিয়েও প্রমাণ করতে পারেননি! কারণ যারা তোমাকে বুঝতে চায় না, তারা তোমার হাজার প্রমাণেও সন্তুষ্ট হবে না!

 তুমি কি এমন সম্পর্ক বা বন্ধুত্বে আছো যেখানে বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে হচ্ছে? তাহলে বেরিয়ে যাও!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top